ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

রামুতে ভোটার হালনাগাদে ছবি তুলতে এসে আটক রোহিঙ্গাসহ ২জনের সাজা

সোয়েব সাঈদ, রামু ::  কক্সবাজারের রামুতে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছবি তুলতে এসে রোহিঙ্গা যুবকসহ ২জন আটক হয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালত তাদের ১মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।

আটক শামশুল আলম রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া এলাকাল উল্ডাখালীর মৃত মোহাম্মদ কালুর ছেলে এবং ওমর মিয়া মায়ানমারের বলচ্যুত একজন রোহিঙ্গা। তাদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন সেট জব্ধ করা হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ওমর মিয়া নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে পুত্র সাজিয়ে ছবি তোলতে নিয়ে আসেন, শামশুল আলম নামে এক ব্যক্তি। তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে ও তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। ওমর মিয়া একজন রোহিঙ্গা, সে শামশুল আলমের পুত্র নয়। ওমর মিয়া বলচ্যুত রোহিঙ্গাদের একজন। তাকে বাংলাদেশি নাগরিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। বিষয়টি এনএসআই সদস্য আবু হানিফ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহফুজুর রহমানকে অবহিত করেন। পরে আটক রোহিঙ্গা যুবক ওমর মিয়া ও কথিত পিতা শামশুল আলমকে আটক করে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ছবি তোলতে আসা ওমর মিয়া একজন বলচ্যুত রোহিঙ্গা। শামশুল আলম নামে ওই ব্যক্তি ওমর মিয়াকে পুত্র সাজিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছবি তোলতে নিয়ে আসেন। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত শামশুল আলম ও ওমর মিয়াকে দ-বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।

ইউএনও প্রনয় চাকমা বলেন, সচেতন রামুবাসিদের প্রতি অনুরোধ কোন প্রকার লোভের বশবর্তী হয়ে, কোন রোহিঙ্গাকে নিজের ছেলে বা মেয়ের পরিচয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে অংশগ্রহন করাবেন না। সেক্ষেত্রে দেশের ক্ষতি হবে, রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে। এ ব্যপারে সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: